ঢাকারবিবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
আজকের সর্বশেষ

যশোরে চার ট্রাক সার কেলেস্কারির ঘটনায় অবশেষে মামলা’

বার্তাকক্ষ
জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ ৪:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 মনিরুজ্জামান মিল্টন, যশোর :

 যশোরের অভয়নগরে অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে  আটকের তিন দিন পর সার কেলেঙ্কারীর অভিযোগে  থানায় গতকাল শুক্রবার মামলা দায়ের করা  হয়েছে। আটক সার ছাড়িয়ে নিতে  বিভিন্ন মহলের চাপ, দেন দরবার হওয়ায় জনমনে বিভিন্ন রকমের জল্পনা -কল্পনার উদ্ভব হয়।অবশেষে  উপ সহকারী কৃষি অফিসার প্রসেন মন্ডক বাদী হয়ে ১১জনের বিরুদ্ধে  মামলাটি দায়ের করেন। আসামীরা হলেন উজির পুর বরিশালের তানিয়া এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার ভবতোষ সমাদ্দার,নওয়াপাড়া ষ্টেশন বাজারের মিতা  এন্টারপ্রাইজের মোঃ মাহাবুব কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা জুয়েল ট্রেডার্সের প্রেপাইটার শাহাবুদ্দিন , ঝালকাঠি সদরের বিসমিল্লাহ স্টোরের প্রোপাইটার নাজমুল আলম নাবিল,নওয়াপাড়া ষ্টোশন  বাজারের এস এস ট্রান্সপোটের প্রোপাটার মোঃ বাবু  রাব্বি ছানি, রাজবাড়ী সদরের রাজ্জাক ট্রেডার্সের প্রেপাইটার মোঃ আঃ ওহাব, চাপাই নবাবগঞ্জ শীবগঞ্জের বন্ধন ট্রেডার্সের মালিক আলহাজ্জ মোঃ মকিব উদ্দিন,নওয়াপাড়া ষ্টেশন বাজারের সাদিয়া ট্রান্সপোটের মালিক মনিরুজ্জামান,নাটোর সিংড়ার মেসার্স আবু বক্কার সিদ্দিকীর মালিক এ এফ এম মাহাবুব,রাজশাহী দূর্গাপুরের এস এস এন্টার প্রাইজের মালিক কামাল উদ্দিন,নাটোর সিংড়ার আশুতোষ কুমার সাহা। গত বুধবার রাতে ৪ টি ট্রাকসহ এক হাজার ৭৬০ বস্তা ডিএপি সার আটক করা হয়।  আটকের পর কাগজ পত্র দেখে জানা যায়, বরিশাল উজিরপুরের তানিয়া এন্টার প্রাইজের ৪শ’৪০ বস্তা ঝালকাঠি সদরের বিসমিল্লাহ ষ্টোরের ৪শ’২০বস্তা,চাপাই নবাবগঞ্জ মিরুজ্জির বন্ধন ট্রেডাসের ৪শ’৫০বস্তা রাজশাহী দূর্গাপুরের এসএস এন্টার প্রাইজের ৪শ’৫০বস্তা ডিএপি সার  ৪টি ট্রাকে রয়েছে। অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলি খাতুন জানান,   নওয়াপাড়া  থেকে সারগুলো বোঝায় করে ঝালকাঠি যাওয়ার কথা ছিল তবে সারগুলো ঝালকাঠি না নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছিল। আটকের পর  তিনি   দীর্ঘ সময়  সকল কাগজ পত্র  যাচাই- বাছাই করেন। কাগজ পত্র সঠিক না পাওয়ায় ও   অপরাধ প্রমানিত হওয়ায়  সংশ্লিষ্ট  ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।  দীর্ঘ দিন থেকে বিসিআইসি ডিলার ও একটি চক্র সরকারী বরাদ্দের নন ইউরিয়া সার বরাদ্দকৃত এলাকায় না নিয়ে সরকারী মূল্যের চেয়েও প্রতি বস্তায়  ৩ থেকে ৪শ’টাকা বেশি দামে বিক্রি করে আসছে।সেই সার কৃষকরা সরকারী মূল্যে কিনতে না পেরে বেশিদামে কিনে  অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি সেক্টর।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।