ঢাকামঙ্গলবার , ২৬ আগস্ট ২০২৫
আজকের সর্বশেষ

তলের বিড়াল বের হয়ে আসছে

বার্তাকক্ষ
আগস্ট ২৬, ২০২৫ ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি চুনারুঘাট উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ঘেরাও সংক্রান্ত সংবাদ আলোচনায় এসেছে।
উপজেলার কয়েক জন প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক আবদার রক্ষা না করা এবং ঘন ঘন চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ দান ও শিক্ষকদের সময়মতো উপস্হিতি ভিজিট করা এবং সরকারী বিভিন্ন বরাদ্দ কৃত টাকা সঠিক খাতে খরচ হয়েছে কি না তা খুজ খবর নিতেই মুলত কয়েক জন প্রধান শিক্ষক ভাল ভাবে দেখেন নি।
গত ১৮ই আগষ্ট উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গন প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করতে শিক্ষা অফিস চুনারুঘাটে আসেন।ঐ সূযোগে কয়েক জন প্রধান শিক্ষক বিষয়টি কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে শিক্ষা অফিস ঘেরাও বলে প্রচার করা হয়।এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও সংবাদ পত্রে তা প্রচার করা হয়।
মুলত সূযোগ বুঝে কয়েক জন প্রধান শিক্ষক প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করতে আসা শিক্ষকদের ভিডিও ধারন করে তা প্রচার করা হয়। ঐ দিন শিক্ষা অফিস ঘেরাও করা হয় নি।
প্রশ্ন পত্রের দাম নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয় এবং আলোচনা শেষে প্রধান শিক্ষকগন প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে যান।
পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষা অফিস ঘেরাও দেখে উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গন বিব্রত বোধ করেন।
শিক্ষা অফিস ঘেরাও সংক্রান্ত বিষয়ে খবর নিতে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগনে সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান আমরা শিক্ষা অফিস ঘেরাও করতে যাই নি।প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করে চলে আসি।কয়েকজন প্রধান শিক্ষক প্রশ্ন পত্রের দাম নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করেন।এবং আলোচনা শেষে চলে যান।
এ বিষয়ে হাজ্বী ইয়াছিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আইয়ুব আলী জানান আমরা শিক্ষা অফিস থেকে প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করার জন্য শিক্ষা অফিসে উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষক গন উপস্থিত হই।ঐ সূযোগে কয়েক জন প্রধান শিক্ষক সংবাদ কর্মীকে ডেকে এনে আমাদের উপস্থিতি ভিডিও ধারন করান এবং শিক্ষা অফিস ঘেরাও সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশনা করা হয়। এক জন সরকারি কর্মচারী হয়ে অফিস ঘেরাও আইন সম্মত নয় এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ। এ কাজ আমরা করতে পারি না। উল্লেখ্য প্রশ্ন পত্রের দাম নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করে প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করে আমরা প্রধান শিক্ষক গন চলে আসি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমীন সুলতানা স্যার অত্যন্ত সৎ ও এক জন শিক্ষা বান্ধব কর্মকর্তা।স্যার অত্যন্ত সুনাম ও সততার সাথে চুনারুঘাট উপজেলায় কাজ করছেন।মুলত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান বিষয় সহ শিক্ষদের সময়তো উপস্থিতি ভিজিট করা কেউ কেউ ভাল চোখে দেখেন নি। এই বক্তব্য কে সমর্থন জানিয়েছেন উষাই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবি এম আনোয়ার, বরাব্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, রানী গাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, জারুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলায়ত উল্লা,শাকির মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক শোয়েব, চান্দপুর বস্হি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম,চুনারুঘাট সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম।
এ বিষয়ে আরো খুজ খবর নিতে পাচগাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহঃ শিক্ষক ও চুনারুঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আ হ ম শামছু মিয়া,(শামসুদ্দিন) গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ এমরানুল হক তালুকদার (নাসরিন),রানীগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাহিদুল ইসলাম,তারা জানান নাসরিন সুলতানা স্যার এক সৎ ও শিক্ষা বান্ধব কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির চুনারুঘাট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৌফিকুল ইসলাম জানান চুনারুঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঠিক তদারকি করা ও কোন কোন শিক্ষক কে অনৈতিক সুবিধা না দেয়ায় সুযোগ্য শিক্ষা বান্ধব কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা স্যারের পিছনে লেগেছে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।