এস, এম শাহাদৎ হোসাইন,রংপুর
উদ্ধার করা তিনটি হিমালয়ান গৃধিনী শকুনকে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম থেকে অসুস্থ তিনটি হিমালয়ান গৃধিণী শকুন উদ্ধার করা হয়। ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ ও তীর নামে সংগঠন দু’টির সদস্যরা মহাবিপন্ন প্রজাতির শকুনগুলোকে উদ্ধার করে। গত ২৯ ডিসেম্বর রবিবার বিকালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার গঙ্গারহাট এলাকার নীল কুমোর নদীর পাড়ে বিশাল আকৃতির হিমালয়ান গৃধিনী শকুনটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। অসুস্থ শকুনটিকে পায়ে রশি লাগিয়ে বেঁধে রেখে ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ টিমের সদস্যদেও সংবাদ দেওয়া হয়। সংবাদ পেয়ে তার সেখান থেকে শকুনটিকে উদ্ধার করে রংপুরে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। সোমবার দুপুরে শকুনটিকে পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানোর আগে রংপুর কারমাইকেল কলেজে আনা হয়। সেখানে পাখিকে দেখতে ক্যাম্পাসে ভিড় জমায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অপরদিকে গাইবান্ধা থেকে আরও দুটি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চের (তীর) সদস্যরা সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা শহরের বানিয়ারজান থেকে একটি এবং রবিবার রাতে ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের শান্তিরমোড় এলাকা থেকে আরেকটি উদ্ধার করেন। দুই জেলা থেকে উদ্ধার করা তিনটি শকুন সোমবার বিকালে একসঙ্গে দিনাজপুরে দেশের একমাত্র শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট লিজেন আহমেদ প্রান্ত বলেন, পরিযায়ী একটি শকুন গত রবিবার বিকালে কুড়িগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘ ভ্রমণ করায় শকুনটি দুর্বল হয়ে পড়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা ও স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধা থেকে আরও দুটি শকুন উদ্ধার হয়েছে।তিনটি শকুন সোমবার বিকালে একসঙ্গে দিনাজপুর শকুন পরিচর্যা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের দেশগুলো থেকে নিরাপত্তা ও খাদ্যের লোভে যেসব পরিযায়ী পাখি পরিযান করে থাকে তাদের মধ্যে অন্যতম হিমালয়ান গৃধিনী। প্রতি বছর শীতকালে শকুনগুলো পরিযায়ন করে বাংলাদেশের সমতল ভূমিগুলোতে চলে আসে।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।