“প্রতিদিন বাংলাদেশ ২৪”(www.protidinbangladesh24.com) এ ডিসেম্বরের ২১, ২২ তারিখে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার বেশির ভাগ খাল-বিল নদী-নালা ও শত শত একর তিন ফসলী জমির মাটি খেয়েছে প্রভাবশালীরা। সেই মাটিখেকোরা এখন হানা দিয়েছে পাট-পেঁয়াজ ও ধানের জমিতে। তারা খননযন্ত্র (ভেকু মেশিন) দিয়ে তিন ফসলি উর্বর জমির ওপরের এক-দেড় হাত (টপ সয়েল) মাটি তুলে নিয়ে বিক্রি করছে ইটভাটায়
` এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদে বলা হয়েছে, মাটি- বালু খেকোরা ফসলি জমির উর্বর মাটি, শত শত বিঘা পতিত জমি পুকুরে পরিনত হয়েছে। ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির এসব মাটি কেটে ট্রলি গাড়ি ও ড্রাম ট্রাকের সাহায্যে বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে।
মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সড়কগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শত শত অনুমোদনবিহীন অবৈধ ট্রলি গাড়ি। নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক, বহন করা মাটি সড়কে পড়ে সামান্য বৃষ্টিতেই ভিজে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ঘটছে দুর্ঘটনা। থামছে না অবৈধ ভেকু দিয়ে মাটিকাটা ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল, পদ্মার চর ও পুকুর-নালা থেকে প্রতিনিয়ত মাটি কাটছে এবং বালু উত্তোলন করছে ড্রেজার মেশিন দিয়ে, এতে করে নদীর তীর ও কৃষি জমি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসবে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।
তাদের এহেন কর্মযজ্ঞে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরেজমিন পদক্ষেপ নিয়ে অর্থদণ্ডসহ মাটি বালু মহাল আইনে দণ্ডিত করা প্রয়োজন। নতুবা মাটি বালু খেকোরা সরকারের রাজস্ব হাতিয়ে নিবে, ধ্বংস হবে পরিবেশ। সমাজ পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসুন।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।