ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর পুরাতন প্রজেক্টের মালামাল, বিভিন্ন স্থাপনা যেখানে যে অবস্থায় আছে স্ক্যাপ মালামাল বিক্রির টেন্ডার আহবান করা হলে সোমবার ১০ মার্চ ৩ ঘটিকায় টেন্ডার বক্সটি সিসিএফ জেনারেল কার্যালয়ে খোলা হয়। সিমেন্ট কারখানার টেন্ডার কমিটি, কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সেনাবাহিনী, পুলিশ, কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সন্মুখে টেন্ডার বক্স খোলা হয়। এ কাজে ৭১ টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়ে মাত্র ৩ টি দরপত্র। এই ৩ টি দরপত্রের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হন কিশোরগঞ্জ-ভৈরবের মেসার্স মমিনুল হক। এ প্রতিষ্ঠানটি ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার জামানত দিয়ে ৪৮ কোটি টাকা দর দাখিল করেন। দ্বিতীয় হয়েছেন মেসার্স বিছমিল্লাহ ট্রেডার্স, সোনালী চেলা। এই প্রতিষ্ঠান ৪৬ কোটি টাকা দর দাখিল করেন। তৃতীয় দরদাতা হয়েছেন মেসার্স শরাফত এন্ড সন্স, নোয়ারাই বাজার। এই প্রতিষ্ঠান ২৪ কোটি
টাকা দর দাখিল করেছেন। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেন্ডারের সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহমান জানান, ৫৯ কোটি ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬ শত ৬৫ টাকার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশের পর বিসিআইসি’র ঢাকা, চট্টগ্রাম অফিস এবং ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরী থেকে মোট ৭১ টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র ক্রয় করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৪ টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে রাব্বি এন্টার প্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠান তাদের দরপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করে নেয়। ৩ টির মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা ৪৮ কোটি টাকায় নির্বাচিত হয়েছেন মেসার্স মমিনুল হক। তিনি আরো জানিয়েছেন, বিসিআইসি’তে আরো ২ টি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি রয়েছে। যাছাই-বাছাই শেষে এ টেন্ডারের সকল কার্যক্রম তারা (কর্তৃপক্ষ) বাস্তবায়ন করবেন।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
