ঢাকাশনিবার , ১৭ মে ২০২৫
আজকের সর্বশেষ

শান্তিগঞ্জে রাস্তায় চলাচলে বাঁধা, বিপাকে ২০ পরিবার! 

বার্তাকক্ষ
মে ১৭, ২০২৫ ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন হাজিপাড়া গ্রামের খারাসাবাড়ির রাস্তায় চলাচলে বাঁধা দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার (১৭ মে) দুপুর ২টায় ইউনিয়নের খারাসাবাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ২০ পরিবারের পক্ষে কথা বলেন খারাসাবাড়ির বাসিন্দা আবু সাঈদ। তিনি বলেন, ‘২২ বছর আগে এই রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দু’জন মানুষ নিহত হওয়ারও ঘটনা ঘটেছিলো। পরে এই এই সমস্যার সমাধান করে রাস্তা নির্মাণ করতে বিগত অনেক জনপ্রতিনিধিগণ বরাদ্দ দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার তাঁর নিজস্ব জমি পর্যন্ত দান করেছেন। এখন আমরা এই রাস্তায় চলতে গেলে মানিক মিয়া গংরা আমাদের বাঁধা দেন। আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল, মাদ্রাসায় যেতে পারে না। তাদের বাড়ির মহিলারা গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা মারাত্মক সমস্যায় আছি। গত কিছুদিন আগেও এনিয়ে ঝগড়া হয়েছে। এলাকার গণমান্য লোকজন, উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকদের কাছে এই  বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান চাই। সরকারি রাস্তায় চলাচলে কেনো তারা আমাদের বাঁধা প্রদান করে এর বিচার চাই।’

জেলা প্রশাসন ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ও খারাসাবাড়ির বাসিন্দা জান্নাতুল ইসলাম মীম বলেন, ‘আমরা স্কুলে যেতে চাইলে রাস্তায় মানিক আঙ্কেলের বাড়ির লোকজন আমাদের আটকে দেন। রাস্তায় চলাচলে বাঁধা দেন। গালমন্দ করেন। আজ ৫দিন ধরে আমি স্কুলে যাচ্ছি না। আমরা ভয়ে বাড়ি থেকে বের হই না।’

খারাসাবাড়ির বাসিন্দা রজব আলী (৭৫) বলেন, আমি মুরব্বি ও রোগী মানুষ। এ রাস্তায় গেলে আমাকেও তারা প্রচণ্ড গালাগালি করে। তাদের উৎপাতে বাড়ি থেকেও বের হতে পারি না। ভুক্তভোগী আয়তেরা বেগম বলেন, ওই বাড়ির মহিলারাও দিনরাত আমাদের গালাগালি করেন।

মুঠোফোনে কথা হয় অভিযুক্ত মানিক মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, ‘আমার উপর যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। খারাসাবাড়ির কোনো রাস্তাই ছিলো না। গত বছর আমি নিজে রাস্তা তৈরির জন্য চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে গিয়েছি। তাদেরকে নিয়ে রাস্তা করেছি। তাদেরকে কেউ কোনো বাঁধা নিষেধ দেয়নি। কিছুদিন আগে তাদের বাড়ির নূর মিয়া চাচার ছেলে ওয়াসিম উদ্দিনের সাথে আমার ঝগড়া হয়েছিলো। সেটা শেষও হয়ে যেতো । কিন্তু তারা থানায় মামলা করে আমাদের লোকদের ধরিয়ে দিয়েছে।মানিক মিয়ার মা বলেন, আমাদের কোনো মহিলা তাদের কোনো লোককে গালাগালি বা নিষেধ দেননি। বরং তারাই আমাদের লোকদের দেখে উষ্কানীমূলক কথাবার্তা বলেন। তারা আমাদের উপর যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলী বলেন, রাস্তা সংক্রান্ত বিষয়ে মারামারির একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।